আজকে আমরা হাজির হয়েছে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা ও এর প্রতিকার নিয়ে। আমরা আজকে জানবো একজন প্রাপ্ত বয়স্ক নারীদের ত্বকের কি কি সমস্যা দেখা দিতে পারে। ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা ও তার প্রতিকার অনেক সময় দেখা যায়, যে আপনি মন-প্রাণ ঢেলে নিয়মিত পরিচর্যা করার পরেও ব্রণ, ব্ল্যাকহেড, ছুলি জাতীয় ত্বকের বিশেষ সমস্যার সম্মুখীন। ত্বকের এসব সমস্যা সম্পর্কে আপনার জেনে রাখা ভালো। এমন সমস্যার কয়েকটি আপনি নিজেই বিশেষ পরিচর্যা করে সারিয়ে তুলতে পারেন।
সাধারণত বিভিন্ন বয়সে ও সদ্য যৌবনাপ্রাপ্ত তরুণীদের দু গালে, কপালে, নাকে ও চিবুকে কখনো দু চারটে কখনো বা খুব বেশি ফোলা ফোলা সামান্য লাল আভা যুক্ত ফুসকুড়ি অনেকটা অংশ জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। সময়ে সময়ে এসব ফুসকুঁড়িতে অল্প পুঁজও জমে । মুখমণ্ডলের ত্বকে এ জাতীয় ব্রণ সবচেয়ে বেশি সমস্যার সৃষ্টি করে । তাই প্রথম থেকেই বিশেষ সতর্কতা নিয়ে এগুলো সারিয়ে ফেলা উচিত। ত্বকের ক্ষেত্রে অবহেলার ফল মারাত্মক হতে পারে। বেশি অবহেলার ফলে এ জাতীয় ব্রণ ত্বকের কেন্দ্রীয় স্তবকের ওপর বরাবরের জন্য ক্ষতচিহ্নের সৃষ্টি করতে পারে। ফলে আপনার সজীব প্রাণবন্ত ত্বকের ওপর কতগুলো ক্ষতচিহ্ন বয়ে বেড়াতে হবে সারা জীবন ধরে । যৌবনের প্রথম দিকেই শরীরে নানা রকম পরিবর্তন শুরু হয়। এ সময়ে শরীরে যৌনগ্রন্থি, থেকে হরমোন নিঃসৃত হয় এ তৈলগ্রন্থি থেকে অপেক্ষাকৃত বেশি পরিমাণে তেল নিঃসৃত হয়। ফলে অনেকেই ব্রণ জাতীয় উৎপাতের সম্মুখীন হয়। যৌনগ্রন্থির নিঃসৃত হরমোনই ব্রণ হবার মূল কারণ হিসেবে ধরা হয়। যারা অল্পবয়স্কা তরুণী, তাদের উচিত ব্রণ দেখা দেবার সাথে সাথেই চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া ও তাঁর কথামতো ব্রণের উপযোগী ওষুধযুক্ত সাবান ও ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করে সঠিক পরিচর্যা শুরু করা।
১. প্রতিদিন চারবার ওষুধযুক্ত সাবান যেমন : Benzoyl Perexide, Sulphur ও Salicylic Acid-যুক্ত সাবান বা শিশু-উপযোগী সাবান যেমন : Baby Soap ব্যবহার করে মুখমণ্ডলের ত্বক ঠাণ্ডা জয়ে ধুয়ে নেবেন।
২. ব্রণ থাকাকালীন অন্য কোনো রকম গায়ে মাখা সাবান ব্যবহার করবেন না।
৩. প্রতিদিন সকালে সাবান দিয়ে মুখমণ্ডল পরিষ্কার করার পর ফুটন্ত গরম পানিতে কিছু তুলসী পাতা ছেড়ে ফেলে দিয়ে মুখমণ্ডলে ভাপ নেবেন ।
৪. ভাপ নেওয়া হয়ে গেলে বরফ পানির ঝাপ্টা দিয়ে বড় হয়ে যাওয়া রোমকূপ সংকুচিত করে নিন ।
৫. প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাবার আগে মুখমণ্ডলের ত্বক
ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে নিন ও এর ১০ মিনিট পরে চিকিৎসকের নির্দেশমতো ব্রণের জন্য নির্দিষ্ট ওষুধ যুক্ত ক্রিম বা লোশন পরিষ্কার স্টেরিলাইজড্ তুলোর সাহায্যে বুলিয়ে লাগান।
৬. কখনো হাত বা অন্য কিছুর সাহায্যে ব্রণ খুঁটতে বা ব্রণের ভেতরের শক্ত সাদা পদার্থ বের করতে যাবেন না ।
৭. খোঁটাখুঁটির ফলে ব্রণ সংক্রামিত হয়ে বিষিয়ে গিয়ে ফল মারাত্মক ক্ষতিকর হতে পারে। ৮. ব্রণ থাকাকালীন মুখমণ্ডলের ত্বকে কোনো তৈলাক্ত পদার্থ বা ক্রিম লাগাবেন না। শুধু ব্রণের পক্ষে উপকারী এমন ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করবেন।
৯. এ ক্ষেত্রে নামকরা প্রস্তুতকারকের তৈরি ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করা উচিত ও ব্যবহার করার আগে প্রস্তুতকারকের তরফে দেওয়া ব্যবহারের নির্দেশাবলি ভালো করে পড়ে নেবেন ।
১০. খাদ্যতালিকা থেকে শাক, ডাটা, বাদাম, কাঁচা লবণ, নোনা পানির মাছ বা সামুদ্রিক মাছ ইত্যাদি আইয়োডাইড্ (Iodide) যুক্ত খাবার বাদ দেবেন। এছাড়া চর্বিজাতীয় খাবার ও ভাজাভুজি বাদ দেবেন।
১১. এ সময় মিষ্টি পানির মাছ, চর্বিহীন মাংস, সরতোলা দুধ, টাটকা ফলের রস, মধু ইত্যাদি খাবেন ।
১২. প্রতিদিন ৬ থেকে ৭ গ্লাস পানি খাবেন ।
১৩. যদি বোঝেন কোনো বিশেষ খাবার খেলে ব্রণের উৎপাত বাড়ছে, সেটি অবশ্যই বাদ দেবেন ।
১৪. অখুশি বা মানসিক দুঃশ্চিন্তা ব্রণের পক্ষে ক্ষতিকারক ।
১৫. যথাসম্ভব প্রফুল্ল ও হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করবেন।
১৬. অনেক সময় মাথায় খুশকি থাকলে মুখমণ্ডলের ত্বকে ব্রণ দেখা দেয় । সে ক্ষেত্রে সপ্তাহে দু বার নামী উৎপাদকের খুশকির জন্য বিশেষভাবে তৈরি শ্যাম্পু দিয়ে মাথা পরিষ্কার করবেন ।
১৭. জন্মনিয়ন্ত্রণের বড়ি (Birth-control Pill), শরীরের ওজন কমাবার জন্য ডায়েট-বড়ি (Diet pill) ও কাশির বিভিন্ন ধরনের ওষুধ ইত্যাদির অতি ব্যবহারের ফলেও অনেক সময় বয়স্কা মহিলাদের মুখমণ্ডলের ত্বকে ব্রণ দেখা দেয় । এ ধরনের কোনো কিছু খাবার ফলে ব্রণ হচ্ছে মনে হলে অবশ্যই আপনার পারিবারিক চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করে তার পরামর্শমতো চলবেন। ১৮. এ সময় যতোটা সম্ভব খোলা আলো-হাওয়া ত্বকে লাগাবেন।
অনেক সময় লোমকূপের গোড়ায় আলপিনের ডগার আকারে কালো কালো বিন্দুর মতো ব্ল্যাকহেড দেখা যায় । তৈলগ্রন্থি হতে নিঃসৃত বাড়তি তেল বাতাসে অক্সিজেনের সংস্পর্শে এসেই জারিত (Oxidized) হয় ও লোমকূপের গোড়ায় কালো কালো বিন্দুর মতো জমে থাকে । মুখমণ্ডলের ত্বক ছাড়াও শরীরের অন্যান্য অংশের ত্বকেও এমন হতে পারে। ব্ল্যাকহেড সংক্রামিত হয়ে ব্রণতে পরিণত হতে পারে ।
নিয়মিত পরিচর্যার ফলে অপেক্ষাকৃত দুর্বল ব্ল্যাহেড দূর করা যায়। নিচে ব্ল্যাকহেডের পরিচর্যা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হলো :
১. গরম পানির ভাপ নিন ৫ মিনিট। এর ফলে লোমকূপের ছিদ্র বড় হয়ে যাবে। ২. এক কাপ গরম পানিতে এক চামচ খাবার সোডা অর্থাৎ সোডিয়াম বাই-কার্বনেট
(ওষুধের দোকানে পাওয়া যায়) মিশিয়ে গরম সেঁক নিন ২ মিনিট। এখন দেখবেন ব্ল্যাকহেডগুলো অনেক স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
৩. এবার কটন বাড (Cotton bud) বা অরেঞ্জ স্টিকের মাথায় স্টেরিলাইজ্ড্ তুলো জড়িয়ে তার সাহায্যে ব্লাকহেডের চারপাশে চাপ দিলেই দেখবেন লোমকূপের গোড়া থেকে ব্লাকহেড উঠে আসছে। তখন তুলো জড়ানো কাঠি দিয়ে ঠেলে সেটাকে সরিয়ে নেবেন ।
৪. ত্বকের একই জায়গায় অনেকগুলো ব্ল্যাকহেড থাকলে একবারে সবগুলো তুলতে যাবেন না ।
৫. একদিন অন্তর তোলার কাজ করবেন ।
৬. ব্রণের মুখে যদি ব্লাকহেড দেখা দেয় তবে নিজে তোলার কাজ করবেন না । বরং
কোনো বিউটি ক্লিনিকে গিয়ে পেশাদারী হাতে তুলিয়ে নেবেন। কারণ, অপটু হাতে তোলার কাজ করতে গেলে ব্রণ বিষিয়ে যেতে পারে।
৭. ব্ল্যাকহেড পরিষ্কার করার পরেই অ্যালকোহল (সার্জিকাল স্পিরিট, ওষুধের দোকানে পাওয়া যায়) স্টেরিলাইজড় তুলোতে ভিজিয়ে যেখানে ব্লাকহেড তোলার
কাজ করেছেন, সেখানে বুলিয়ে নেবেন।
৮. একটু পরে তুলোর সাহায্যে অ্যাস্ট্রিনজেন্ট লোশন ত্বকে লাগিয়ে বড় হয়ে যাওয়া
রোমরবন্ধ সংকুচিত করে নেবেন।
৯. এক চামচ ‘এপসম সল্ট’ (Epsom) অর্থাৎ ম্যাগনেসিয়াম সালফেট (ওষুে দোকানে বা ল্যাবরেটরি ইন্সট্রুমেন্ট সরবরাহকারীর কাছে পাওয়া যায়) ১ কাপ গরম পানিতে গুলে ও তাতে ৩ ফোঁটা সাদা আয়োডিন (White jodine) মিশিয়ে গরম সেঁক নিয়ে ও তারপর কটন বাডের সাহায্যে ব্লাকহেড দূর করার কাজ
করতে পারেন ।
ত্বকের নিচে মোমের মতো সাদা সাদা অংশ শক্ত চর্বিকলার জন্য এমন দেখায়) তৈলগ্রন্থির ঠিক মুখে জমে থাকে। ত্বকের ঠিক নিচেই সাদা চর্বিপূর্ণ পদার্থটি থাকে, ফলে ফুটো করে বের করে দেবার পথ করে না দিলে এগুলো জমেই থাকে। নিজে হোয়াইটহেডের পরিচর্যার কাজ করতে যাবেন না । কোনো চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের সাথে যেনোগাযোগ করে এগুলো সারিয়ে নেবেন। কখনো নিজে থেকে খোঁটাখুঁটি করতে যাবেন না। এতে জায়গাটা বিষিয়ে যেতে পারে এবং মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।
ত্বকে অনেক সময় বড় বড় ফোঁটার মতো কালো শক্ত আঁচিল দেখা দেয় । কিছু আঁচিল জন্ম থেকেই অনেকের শরীরে থাকে । এর জন্য দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই । অনেক সময় মুখমণ্ডল, ঘাড় বা গলার আঁচিলে কিছু চুল গজায়। আঁচিলের চুল কখনো প্রাক করে তুলে ফেলবেন না। বরং ছোট কাঁচির সাহায্যে গোড়া থেকে চুল কেটে নেবেন। যদি আঁচিলের লক্ষ্যণীয় পরিবর্তন দেখেন বা দেহে নতুন আঁচিল দেখা দেয়, তাহলে অবশ্যই পারিবারিক চিকিৎসকের সাথে যেনোগাযোগ করবেন। এবং তার পরামর্শ মেনে চলবেন।
বর্ণকোষের গঠনের পরিবর্তনের ফলে দেহের নানা অংশে অনেক সময় কালো, লাল বা ঘন নীল রঙের আলপিনের মাথার মাপে বিন্দু দেখা যায়। এগুলোই তিল। সাধারণত রোদের তাপ বা বংশগতির কারণে এসব হয়। তিল ত্বকের কোনো ক্ষতি করে না। কিন্তু আকারে বেড়ে গেলে বা খসখসে লালচে রঙের হতে শুরু করলে অবশ্যই চর্মবিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেবেন। মুখমণ্ডলে তিল থাকলে মেক আপের সাহায্যে ঢেকে ফেলা সম্ভব। অনেকের চিবুকে তিলের অবস্থান বিউটি স্পট হিসেবে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। শরীরে খুব বেশি সংখ্যক তিল থাকলে অস্ত্রোপচারের সাহায্যে পদ্ধতি অনুসরণ করে সুফল পেতে পারেন।
১. চামচ মূলো বাটা, আধ চামচ মাখন তোলা দুধ বা আধামচ পাকা পাতিলেবুর রস ভালোভাবে মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করে নিন। প্রতিদিন গোসলের এক ঘণ্টা আগে তিলের ওপর ফোঁটা ফোঁটা পেস্ট লাগান। এবার গোসল করার সময় ধুয়ে ফেলবেন।
২. রাতে আধ কাপ দুধে ৫ ফোঁটা পাতিলেবুর রস ফেলে ঢেকে মূলো বাটা ও ১ চামচ গুঁড়া ওট মিল ভালো করে মিশিয়ে নিন। গোসলের আধঘণ্টা আগে ছোট তুলোর প্যাড মিশ্রণে ভিজিয়ে তিলের ওপর লাগিয়ে রাখুন। গোসল করার সময় তুলোর প্যাড সরিয়ে দেবেন ।
শরীরের নানা অংশে, বিশেষ করে মুখমণ্ডলে হালকা হলদে বা কালচে রঙের ছোট মটরদানার মতো মাপে দাগ পড়ে। হলদে রঙের দাগকে ‘ছুলিম্ব ও কালচে রঙের দাগকে ‘মেচতাম্ব বলে। এ ধরনের দাগে কোনো জ্বালা-যন্ত্রণা থাকে না। কিন্তু ফর্সা ত্বকের ক্ষেত্রে মেচতা ও উজ্জ্বল শ্যামবর্ণের ত্বকের ক্ষেত্রে ছুলি সৌন্দর্যহানির মূল কারণ হয়ে দাঁড়ায় । অনেক সময় সূর্যের তাপে ছুলি মেচতা হতে পারে। যাদের ছুলি আছে, তারা গোসলের পর পাতিলেবুর রন লাগিয়ে সুফল পেতে পারেন।
তবে ছত্রাক সংক্রমণ থেকেও ত্বকে সাদা দাগের ছুলি হতে পারে। এ রকম ভুল ধারণা আছে যে, ছুলি সারে না । এ ধারণা একেবারেই ঠিক নয় । বর্তমানে চিকিৎসা বিজ্ঞানে ছুলি সারাবার সুন্দর ওষুধ আছে । সাধারণত বহুল প্রচলিত ‘ছুলিপানিম্ব লোশন’ ব্যবহার করতে পারেন (ওষুধের ও স্টেশনারি দোকানে পাবেন)। আবার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে ছুলির মলম বা লোশন ক্লোট্টিমাপানি অথবা নাইকোনাপানি, জাতীয় ছুলির ওষুধ মাসখানেক ব্যবহার করলেই ছুলি সম্পূর্ণ সেরে যায় ।
মিশিয়ে তুলোর সাহায্যে পর পর ৮ থেকে ১০ দিন লাগান দিনে ২ বার। হলুদ-বাটা মেচতার জন্যে ১ চামচ কাঁচা গরুর দুধ ও ১ চামচ কাচা হলুদ বাটা ভালোভাবে ও দুধের মিশ্রণ প্রতিবার নতুন করে তৈরি করে ব্যবহার করবেন। ২০ মিনিট মিশ্রণ
লাগিয়ে রাখবেন। দেখবেন ঠিক হয়ে গেছে।
সাধারণত গরমকালে অনেকেই ঘাড়ে, কপালে ও পিঠে ঘামাচির আক্রমণে বিব্রত বোধ করেন । ঘামাচি শুধু অস্বস্তিকরই নয়, ঘামাচি ত্বকের মসৃণতা ও ঔজ্জ্বল্য নষ্ট করে সামান্য গরম পড়লেই যাদের ঘামাচি শুরু হয়, তারা গরম পড়তে শুরু করলেই নিচের দেয়। তাই উচিত উপযুক্ত পরিচর্যা করে সম্পূর্ণভাবে ঘামাচি নির্মূল করা। মতো পরিচর্যার কাজ শুরু করবেন :
১. প্রতিদিন দু বার ওডিকোলন সাবান দিয়ে ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করবেন।
২. প্রতিদিন গোসলের পরে অন্তর্বাস পালটে নেবেন।
৩. গোসলের পর নামী প্রস্তুককারকের প্রিকলি-হিপ্ পাউডার ব্যবহার করবেন।
৪. মাঝে মাঝে ঠাণ্ডা পানির ঝাপটা দিয়ে মুখমণ্ডল ধুয়ে ফেলবেন।
৫. এ সময় প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি ও টাটকা ফলের রস খাবেন।
১. গোসলের ১ ঘন্টা আগে ১ চামচ খাবার সোডা বা সোডি বাই-কার্বনেট (Sodium Bi-carbonate), ১ কাপ গোলাপ পানিতে গুলে তুলোর সাহায্যে লাগান।
২. গায়ে কোনো রকম তেল ব্যবহার করবেন না ।
৩. নরম পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে গা মোছার কাজ করবেন ।
৪. তোয়ালে দিয়ে চেপে চেপে পানি মুছে নেবেন ।
৫. এ সময় চন্দনবাটার সাথে গোলাপ পানি মিশিয়ে মুখে ফেস্ প্যাক ব্যবহার করবেন।
চামড়ার ওপর প্রদাহের ফলে পুঁজিবটির সৃষ্টি হয় যা থেকে সাধারণত আঠার মতো রসক্ষরণ হয় ও জায়গায় জায়গায় মোটা মামড়ি পড়ে। সাধারণত শরীরের অল্প একটু জায়গাতে এটা আবদ্ধ থাকে। অনেক সময় শরীরের বেশ কিছু অংশ জুড়ে ছড়িয়ে পড়তেও দেখা যায়। ঠিকমতো চিকিৎসা করলে এ রোগ নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখা যায়, কিন্তু একেবারে কমে গেলেও আবার নতুন করে শুরু হতে পারে। জ্বালাযন্ত্রণা বেশি হলে ঠাণ্ডা পানির সেঁক দিলে আরাম পাওয়া যায়। উপযুক্ত চিকিৎসার জন্য চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের সাথে যেনোগাযোগ করবেন ।
অনেক সময় হঠাৎ শরীরের নানা জায়গায় লাল লাল চাকা চাকা দাগ স্পষ্ট হয়ে ওঠে খুব চুলকাতে থাকে। এমন হয় সাধারণত কোনো বিশেষ দ্রব্যের সংস্পর্শে এলে বা কোনো বিশেষ খাবার বা ওষুধ খাবার ফলে অ্যালার্জি জনিত কারণে। আমবাতের লক্ষণ ত্বকে ফুটে ওঠার সাথে সাথেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।
আর বেয়াড়া ধরনের বাকি সমস্যার জন্য অবশ্যই আপনার পারিবারিক চিকিৎসক বা কোনো চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের সাথে যোগাযোগ করবেন । মনে রাখবেন, সাধারণত আপনার দেহের অভ্যন্তরীণ কোনো অঙ্গ যখনই রোগে ক্লান্ত হয়, তার বহিঃপ্রকাশ ঘটে ত্বকে, অর্থাৎ ত্বক আগে-ভাগেই আভ্যন্তরীণ রোগ সম্পর্কে সতর্ক করে দেয়। সে জন্য ত্বকের ছোটখাট সমস্যাকে কখনো হালকাভাবে নেবেন না ।