1. mdasattarsarker07@gmail.com : shimulvisa@gmail.com :
বদনজরের চিকিৎসা - শেষ পর্ব | Tips2fit
bosnojor 3 1
  • ২৭৭
বদনজরের চিকিৎসা – শেষ পর্ব

বদনজরের পঞ্চম প্রতিকার

বদনজরের অন্যতম একটি চিকিৎসা পদ্ধতি হলো, বদনজরকারী ব্যক্তিকে নিজ রানের ভাঁজ, বগল, হাত-পা এবং তার শরীরের গোপনাংশ ধৌত করতে নির্দেশ দেওয়া হবে। গোপন অংশের ব্যাপারে দুটি বক্তব্য রয়েছে। ১. এর দ্বারা লজ্জাস্থান উদ্দেশ্য। ২. লুঙ্গির ভেতরের সেই অংশ, যা ডান দিকে শরীরের সাথে মিলিত হয়েছে। তারপর ওই পানি নজর লাগা ব্যক্তির উপর পেছন থেকে পুরোটা একসাথে ঢেলে দেবে ।

অভিনব চিকিৎসার রহস্য অনুদঘাটিত

এই চিকিৎসাপদ্ধতি এমনই অভিনব ও বিরল যে, যার স্বরূপ চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা আজ অবধি উদ্ঘাটন করতে পারেনি। আর যে কেউ একে অস্বীকার করে অথবা তা নিয়ে কৌতুক করে কিংবা এই পদ্ধতিতে আরোগ্য লাভ করা নিয়ে সন্দেহ করে অথবা মনে করে যে, এটা নিছক একটা অভিজ্ঞতা, বিশ্বাসের সাথে এর কোনো সম্পর্ক নেই; এমন ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই চিকিৎসা কোনো উপকারে আসবে না । কারও স্বভাবে যখন কোনো বিশেষ অবস্থা তৈরি হয়, যার প্রকৃত কারণ ও রহস্য চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা কখনোই উদঘাটন করতে পারে না; বরং এগুলো তাদের নিকট ধারণাপ্রসূত মনে হয়, বিশেষত যখন তা প্রতিক্রিয়াশীল হয়, তখন তাদের এসব অস্বীকার করা যেমন বিস্ময়কর নয়, তেমনি যদি কোনো নাস্তিক কিংবা অজ্ঞ ব্যক্তি শরিয়তের বিশেষত্বকে অস্বীকার করে, তাতেও আশ্চর্য হবার কিছু নেই। কারণ, এই চিকিৎসাপদ্ধতির উপকারিতার কথা সচেতন জ্ঞানী মহলে স্বীকৃত। সচেতন মহল এ কথারও স্বীকারোক্তি দিয়েছেন যে, এটি একটি উপযোগী ও উত্তম চিকিৎসা পদ্ধতি ৷ উদাহরণস্বরূপ, সাপের বিষের প্রতিষেধক তার মাংসে থাকে, ক্রোধান্বিত ব্যক্তির প্রতিক্রিয়ার প্রতিকার তার ক্রোধ দমন করার মধ্যে, আগুনে হাত রাখলে অথবা স্পর্শ করলে আগুন নিভে যায়, ঠিক তদ্রূপ ক্রোধ দমন করার দ্বারা তার প্রভাব নিঃশেষ হয়ে যায়। যেমন, কোনো ব্যক্তির হাতে আগুনের টুকরা আছে, যা সে তোমার উপর নিক্ষেপ করতে চায়, তুমি সে আগুনের ওপর পানি ঢেলে দাও, তাহলে আগুনের টুকরাটি তার হাতেই নিভে যাবে।

এ কারণেই বদনজরকারীকে এম  আলাইহি’ পড়ে। সে বদনজরের অনিষ্টতা দুজার বদৌলতে দু দ্বারাই চিকিৎসা করা হয়ে থাকে। বিশেষ অঙ্গ ধৌত করার রহস্য এ ছাড়া বদনজরের অনিষ্টতা ও PALA RUNA অংশ থেকে নিঃসৃত হয়। তাই এর পরি বিদ্যমান থাকে। তাই রানের ভাঁজ, কাল এবং লুঙ্গির নিচের অ করলে ওইসব কোমল স্থান থেকে নিঃসৃত বাবাজান নিয়া । ছাড়া এই স্থানগুলো শয়তানি প্রেতাত্মাদের বিচারে। মোটকথা হলো, এই অংশগুলো কোয়ার পর্দার্থ নিষ্ক্রীয় হয়ে যায়। যেমনিভাবে শরীরের উপরিভাগ পানি প্রভাব শরীরের ভেতরের সবচেয়ে কোমল অংশ দর পর্যা অতিদ্রুত ক্রিয়াশীল হয়। ঠিক তেমনি দেে দেহের কোমল অংশগুলোর আগুনের উত্তাপ ও নির্বক্রিয়া উট বতন হয়ে যায়। একই সাথে নজরবিদ্ধ ব্যক্তি পরিপূর্ণ সুপ্ত যেমন, দংশন করার পর যদি বিষাক্ত অর্থটাকে মেরে ফেলা বিষক্রিয়া দুর্বল হয়ে যায় এবং রুগী আরাম অনুভব করে। আর করার পরও দংশনকারী জন্তু জীবিত থাকে, তাহলে নির্ধারিয়া সবাভাবিক রঙ্গে প্রকাশিত হয়। জন্তুকে না মারা পর্যন্ত রগী বৃত্তি লাভ করে না। অভিজ্ঞতালব্ধ বিষয়। যদিও বাহ্যত এর কারণ হলো, শত্রুর মৃত্যুতে দংশিত ব্যক্তি যে খুশি ও আন অনুভব করে এবং তার অন্তরে প্রশান্তি ও সান্ত্বনা পায়, এর ফলে মনুষ্য প্রকৃতিতে বেদনা সহ্য করার শক্তি অর্জিত হয় এবং অসুস্থ ব্যক্তি দংশনের তাপকে প্রতিরোধ করতে পারে। সারকথা হলো, বদনজরকারী ব্যক্তির অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ধৌত করার দ্বারা ত কুদৃষ্টির খারাপ প্রভাব নিঃশেষ হয়ে যায়। বিশেষত, যখন কোনো বদনজরকারী নিজেই এই অনিষ্ট কাজে জড়িত থাকে তখন এসব অঙ্গ ধৌত করা অধিক কল্যাণকর।

বদনজরে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে পানি ঢালার রহস্য

যাইহোক এটুকু তো বুঝে এসেছে যে, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ধৌত করার দ্বারা ফায়দা : কিন্তু সেই ব্যবহৃত পানি নজরবিদ্ধ ব্যক্তির গায়ে ঢালার সাথে কী সম্পর্ক তা হয়তো বুঝে আসেনি। সে বিষয়টি এভাবে বুঝার চেষ্টা করা যেতে পারে, এখানে বদনজরকারীর গোসলের সাথে পুরোপুরিই সামঞ্জস্যতা আছে। এটি এমন পানীয় যার দ্বারা কুদৃষ্টির আগুনের উত্তাপ ও কুপ্রভাব দূরীভূত হয়ে যায়। অর্থাৎ যেমনিভাবে বদনজরকারী ব্যক্তির আগুন নিভে গেছে তেমনিভাবে নজরবিদ্ধ ব্যক্তির আগুনও নিভিয়ে দিয়েছে । যেই পানি দিয়ে লোহার আগুন নিভানো যায়, সেই পানি বিভিন্ন ওষুধের সাথে মিশিয়ে তার প্রভাব কাজে লাগানোর বিষয়টি তো চিকিৎসকদের নিকট সুপ্রসিদ্ধ । তাহলে যেই পানি দিয়ে বদনজরকারীর আগুন নিভানো হলো, তাকে প্রয়োজন মাফিক সামঞ্জস্যশীল চিকিৎসায় ব্যবহার করার ক্ষেত্রে কিসে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলো?

নবি-রাসুলের চিকিৎসা ও ফুটপাতের চিকিৎসার পার্থক্য

মানুষের স্বভাব-প্রকৃতির বিভিন্ন চিকিৎসা ও প্রতিকারের ক্ষেত্রে নববি চিকিৎসা পদ্ধতি তার আপন গতিতে কাজ করে থাকে। অনুরূপ ফুটপাতের চিকিৎসকগণ নিজেদের চিকিৎসাপদ্ধতি তাদের শাস্ত্র মোতাবেক করে থাকেন। তবে এ কথা বলার অবকাশ রাখে না যে, এসব চিকিৎসাপদ্ধতি নববি চিকিৎসাপদ্ধতি থেকে অনেক নিম্নমানের। কেননা, তাদের মাঝে এবং নবিদের মাঝে আকাশ-পাতাল ব্যবধান রয়েছে। নবিদের চিকিৎসা এবং তাদের চিকিৎসাপদ্ধতির মাঝে আরও একটি বড় পার্থক্য রয়েছে। আর তাহলো, সাধারণ মানুষের পক্ষে রোগের প্রকৃত কারণ অনুধাবন ও অনুসন্ধান করা মুশকিল । এই আলোচনায় যুক্তি ও শরিয়তের মধ্যকার সম্পর্ক তোমার কাছে পুরোপুরিভাবে স্পষ্ট হয়েছে। শরিয়ত ও যুক্তিনিষ্ঠতার মাঝে বৈপরীত্য এবং পারস্পরিক কোনো দ্বন্দ্ব নেই। বরং আল্লাহ তাআলা যাকে চান সঠিক পথে পরিচালিত করেন। যে ব্যক্তি আল্লাহর তাওফিকপ্রাপ্তির জন্য সর্বদা তাঁর দরজায় কড়াঘাত করে তার জন্য আল্লাহ তাআলা সকল দরজা উন্মুক্ত করে দেন। তাঁর জন্যই পূর্ণ নেয়ামত ও সুউচ্চ মর্যাদা।

বদনজরের ব্যাপারে বিশেষ সতর্কতা

বদনজরের ষষ্ঠ প্রতিকার

বদনজরের অন্যতম আরেকটি চিকিৎসা হলো, যার উপর বদনজরের আশঙ্কা হয় তার সৌন্দর্য গোপন করে রাখতে হবে। যাতে করে সে কুদৃষ্টি থেকে রক্ষা পায়। এ সম্পর্কে ইমাম আবু মুহাম্মাদ হুসাইন ইবনু মাসউদ আল-বাগভি রহ তাঁর শারহুস সুন্নাহ গ্রন্থে লিখেছেন, হযরত উসমান ইবনু আফফান রাযি. এ সুশ্রী বালককে দেখে বললেন, তার থুতনিতে কালোদাগ দিয়ে দাও। যাতে কারও বদনজর তার উপর না লাগে।’

হযরত উসমান রাযি.-এর উক্তির শাব্দিক বিশ্লেষণ

হাদিসে উল্লিখিত ‘আন-নুনাহ’ শব্দের অর্থ সম্পর্কে ইমাম বাগাভি রহ. বলেন, ছোট বাচ্চাদের থুতনিতে যে দৃষ্টিনন্দনীয় ভাঁজ পরে বা গর্ত দেখা যায় তাকে নুনাহ বলা হয়। আল্লামা খাত্তাবি রহ. গারিবুল হাদিস গ্রন্থে হযরত উসমান রাযি. থেকে বর্ণনা করেছেন, একটি বাচ্চাকে কুদৃষ্টির শিকার হতে দেখে হযরত উসমান রাযি. লোকদের নির্দেশ দিলেন, তার থুতনিতে কালোদাগ দিয়ে দাও। হযরত আবু আমর রহ. বলেন, আমি হযরত আহমাদ ইবনু ইয়াহইয়া রহ.- কে ‘আন-নুনাহ’ শব্দ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করি। তখন তিনি বলেন, নুনাহ অর্থ হলো, থুতনির নিচে প্রকাশিত গর্ত বা ভাঁজ।

হাদিসে উল্লেখিত ‘তাদসিমু’ শব্দের অর্থ : তাদসিম অর্থ হলো, তাসভিদ বা কালো রং করা। হযরত উসমান রাযি.-এর উক্তি দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, থুতনির ওই অংশটি কালো করে দাও, তাহলে সে বদনজর থেকে নিরাপদ থাকবে। হযরত আয়েশা রাযি. থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهِ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَطَبَ ذَاتَ يَوْمٍ، وَعَلَى رَأْسِهِ عِمَامَةً دَسْمَاءُ أي سَوْدَاءُ রাসুল । একদিন খুতবা দিলেন, আর তাঁর মাথায় ছিলো কালো পাগড়ি ।

১. শরহুস সুন্নাহ, ইমাম বাগাভি, ১২/১৬৬, হাদিস ৩২৪৬ এবং ১৪/১৭৮, হাদিস ৩৯৭৫ ।

২. শরহুস সুন্নাহ, ইমাম বাগভি, ১৪/১৭৮, হাদিস

কালো দাগের স্বপক্ষে দলিল হিসেবে এই হাদিসটি এখানে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া একজন কবিও তার কবিতায় এই অর্থ গ্রহণ করেছেন। مَا كَانَ أَحْوَجَ ذَا الْكَمَالِ إِلَى عَيْبٍ يُوَفَّيهِ مِنَ الْعَيْنِ একজন কামেল ও নিষ্কলঙ্ক ব্যক্তির এমন দাগের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, যা তাকে কুদৃষ্টি থেকে হেফাজত করতে পারবে।

বদনজর সম্পর্কিত একটি ঘটনা

বদনজরের অষ্টম প্রতিকার

হযরত আবু আবদুল্লাহ আস-সাজি রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি হজ অথবা কোনো এক জিহাদের সফরে অতি সুন্দর নয়নকাড়া এক উটনীতে আরোহী ছিলেন। তাদের কাফেলায় ছিল এক বদনজরকারী ব্যক্তি। যখনই সে কোনো কিছুতে দৃষ্টি দিতো তখনই তা ধ্বংস হয়ে যেতো। কাফেলার লোকেরা আবু আবদুল্লাহ রহ.-কে বলল, তোমার উটনীকে এই বদনজর থেকে রক্ষা করো। প্রতিউত্তরে তিনি বললেন, কেন ভাই! আমার উটের সাথে এই বদনজরকারীর কী লেনাদেনা! এরপর যখন ওই কুদৃষ্টিকারী ব্যক্তির নিকট এই সংবাদ পৌছলো, তখন সে হযরত আবু আবদুল্লাহর অনুপস্থিতির অপেক্ষা করতে থাকলো। এক সময় সুযোগ পেয়ে উটনীর কাছে উপস্থিত হয়ে কুদৃষ্টি দিতেই উটনীটি ধপাস করে মাটিতে পড়ে ছটফট করতে লাগলো। ইতোমধ্যে আবু আবদুল্লাহ উপস্থিত হলে তাকে অবগত করা হলো, উটনীর উপর বদনজর করা হয়েছে। তিনি নিজ চোখে উটনীকে দেখে বলেন, আমাকে বদনজরকারী ব্যক্তিকে দেখিয়ে দাও। যখন তাকে দেখানো হলো, তিনি সেখানেই দাঁড়িয়ে এই দুআ পড়তে শুরু করলেন-

১. সহিহ বুখারি গ্রন্থে হযরত আয়িশা রাযি. থেকে এই মর্মে কোনো হাদিস অনুসন্ধান করে বের করা সম্ভব হয়নি। তবে এই ভাষ্যের সমার্থক একটি হাদিস হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাযি. বর্ণিত হয়েছে।-দেখুন : সহিহ বুখারি, হাদিস : ৩৬২৮, ৩৮oo |

২. দিওয়ানুল মাআনি, ১/৬৮, আত-তামছিল ওয়াল মুহাদির, পৃ. ৪৩৫ এবং শরহু দিওয়ানিল মুতানাববি, আকবারি, ১/৫২।

سم الله حبس حابس، وَحَجَرٌ يَابِسٌ وَشِهَابٌ قَابِسُ، رَدَدْتُ عَيْنَ الْعَالِنِ عَلَيْهِ ـلَ أَحَبِّ النَّاسِ هِ، فَارْجِعِ الْبَصَرَ هَلْ تَرى مِنْ فُطور، ثُمَّ ارْجِعِ الْبَصَرَ كرتين يَنقَلِبُ إِلَيْكَ البَصَرُ عليناً وَهُوَ حَسِيرٌ আল্লাহর নামে বাঁধাদানকারীর প্রতিবন্ধকতা, শুকনো পাথর, অগ্নিশিখা বিশিষ্ট তারকা, আমি কুনজর দাতার কুদৃষ্টি তার উপর এবং তার সবচেয়ে প্রিয় জিনিসের দিকে ফিরিয়ে দিচ্ছি। পুনরায় তাকাও, কোথাও দৃষ্টিগোচর তোমার? তারপর ঘুরে ফিরে দেখ পুনরায় ফিরে আসবে তোমার দৃষ্টি তোমার কাছে ক্লান্ত হয়ে ।

এই দুআর প্রভাবে বদনজরকারীর দুই চোখের পুতলি বের হয়ে গেলো এবং উটনীটি সুস্থ হয়ে দাঁড়িয়ে গেলো।

[রেফারেন্স: ১. ঘটনাটি তারিখু দিমাশক, ইবনে আসাকির, হিলইয়াতুল আউলিয়া, আবু নুয়াইম, ফাইদুল কাদির, ইমাম মুনাভি ও যাদুল মাআদ, ইবনুল কাইয়ুম রহ. বর্ণনা করেন। এ কথা স্পষ্ট যে উপরোক্ত ঘটনাটি কোনো হাদিস কিংবা সাহাবা-তায়েয়ি রহ.-এর থেকে বর্ণিত কোনো বাণীও না। এটি ব্যক্তির অভিজ্ঞতা ও তাকওয়াভিত্তিক একটি বিষয়। আর এখানে কুরআনে কারিম ও হাদিস বিরোধী কিছু নেই। সুতরাং এই ঝাড়-ফুঁক যেমন কারও জন্য মানা আবশ্যক নয়। কারও মন চাইলে পালন করতে পারে বা নাও পারে। একই কথা অন্যান্য সালাফদের ব্যক্তিগত দুআ ও ওজিফার ক্ষেত্রে। অর্থাৎ যদি তাদের বর্ণিত দুআ ও আযকার যদি কুরআনে কারিম ও সুন্নাহ বিপরীত ও বিকৃত না হয় তাহলে তা আমল হিসাবে গ্রহণ করার ক্ষেত্রে ব্যক্তি স্বাধীন থাকবে। আর কোনোভাবেই এসব আমল, ঝাড়-ফুঁক, ওজিফা, আযকার ও দুআ কারও উপর বাধ্যতামূলক করা যাবে না। আর অবশ্যই মনে রাখতে হবে, কুরআনে কারিম ও সহিহ সুন্নায় বর্ণিত যেকোনো আমল (আযকার, তাসবিহ, দোয়া, ওজিফা ও ঝাড়- ফুক) সকল কিছুর ঊর্ধ্বে রেখে বিশ্বাসের সাথে আমল করতে হবে। আল্লাহ তাআলা আমাদের সঠিক পথ অবলম্বন ও সেই পথে পরিচালিত করুন।]

Related Post:

 

 

Please Share This Post in Your Social Media