1. mdasattarsarker07@gmail.com : shimulvisa@gmail.com :
কালো যাদু (Black Magic) কি? কালো যাদুর চিকিৎসা পদ্ধতি | Tips2fit
BLACK MAGIC
  • ৪৩১
কালো যাদু (Black Magic) কি? কালো যাদুর চিকিৎসা পদ্ধতি
16 / 100

ভূমিকা

আসসালামুআলাইকুম ! আশা করছি সবাই ভাল আছেন আজকে আপনাদের জন্য এমন একটি টপিক্স নিয়ে আলোচনা করব সেটি হল যাদু । যাদু একটি ভয়ংকর প্রভাব যা দ্বারা মানুষ সৃষ্ট ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। আজকে আমরা এই যাদু সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব । শরিয়ত এই বিষয়ে কি বলে , এর প্রভাব, লক্ষণ ও করণীয় বা এটি হতে কিভাবে আমরা বাঁচতে পারি। চলুন শুরু করা যায়।

রাসুল (সা.) এক যাদুতে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা:

কিছু মানুষ যাদুবিদ্যা অস্বীকার করে। আর বলে রাসুল (সা.) -এর ওপর যাদুর প্রয়োগ হওয়ার বিষয়টি কোনোভাবেই সমীচীন নয়। তাদের বিশ্বাস, যাদুতে আক্রান্ত হওয়া রাসুল (সা.) এ-এর জন্য অসম্পূর্ণতা ও দোষণীয় বিষয়।তারা যেমন বলছে বিষয়টি তেমন নয়; বরং যাদু-টোনায় আক্রান্ত হওয়াটা সাধারণ রোগ-ব্যাধি ও ব্যথার মতোই। অন্যান্য রোগের মতো এটিও একটি রোগ। রাসুল (সা.) যেমন বিষক্রিয়াতে আক্রান্ত হয়েছেন তেমনি তাঁর ওপর যাদুও প্রয়োগ করা হয়েছে। বিষ ও যাদুতে আক্রান্ত হওয়ার ক্ষেত্রে কোনো পার্থক্য নেই।
সহিহ বুখারি ও সহিহ মুসলিমে গ্রন্থে হযরত আয়েশা রাযি. থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, একবার রাসুল (সা.) এ-এর ওপর যাদু প্রয়োগ করা হলো। তখন রাসুল (সা.) কল্পনা করতেন তিনি তাঁর স্ত্রীদের নিকট গিয়েছেন, অথচ তিনি তাঁদের কাছে গমন-ই করেননি। যাদুর মাধ্যমে আক্রান্ত ব্যক্তির মারাত্মক অবস্থা হলেই কেবল এমন হয়ে থাকে।

রাসুল (সা.) আমাদের মতো মানুষ কি?

কাজী আবুল কদল ইয়ায ইবনু মুসা রহ. বলেন, যাদু এক প্রকার রোগ। যাদু যে অসুস্থতার সাথে সম্পৃক্ত তাতে রাসুল(সা.) আক্রান্ত হলে অশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। অন্যান্য রোগের মাধ্যমে তিনি যেমন অসুস্থ হন, তেমনি যাদুর মাধ্যমেও তিনি আক্রান্ত হতে পারেন। এই আক্রান্ত হওয়ার মধ্যদিয়ে ওয়াতের মর্যাদায় কোনোপ্রকার ত্রুটি সৃষ্টি হয় না।বালুতে আক্রান্ত হওয়ার পর রাসুল (সা.) -এর এই খেয়াল হওয়া যে তিনি একটি কাজ করেছেন অথচ প্রকৃতপক্ষে তিনি সেটি করেননি-এর মাধ্যমে তাঁর ওয়াতের সত্যতা এবং নিষ্পাপ হওয়ার ব্যাপারে কোনো সংশয় সৃষ্টি করবে । কেননা, তার সত্যতার ক্ষেত্রে যথেষ্ট দলিল-প্রমাণ বিদ্যমান আছে এবং নিস্পাপ হওয়ার ব্যাপারে উম্মতের ইজমা’ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

আর যাদুতে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি পার্থিব জীবনের সাথে সম্পৃক্ত। এজন্য রাসুল (সা.) কে প্রেরণ করা হয়নি। বিষক্রিয়া না হওয়া ও যাদুর প্রভাব বিস্তার না করা এসব কারণে রাসুল (সা.) -এর শ্রেষ্ঠত্ব নয়। পৃথিবীর অন্যান্য মানুষের মতো তিনিও এসব রোগ-ব্যাধি ও বালা-মুসিবতে আক্রান্ত হয়েছেন। তার তিনি যদি যাদু-টোনায় আক্রান্ত হয়ে এটা ভাবেন যে, কাজটি তিনি করেছেন। অথচ তিনি করেননি তাহলে তা অভাবনীয় কিছু নয়। কেননা কিছু সময় যাওয়ার পর তিনি নিজেই বোঝাতে পারতেন, আসল বিষয়টি কী হয়েছিল। যাদুর প্রভাব রোধে চিকিৎসা গ্রহণ যাদুর প্রভাবে আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসার ক্ষেত্রে রাসুল (সা.) -এর নির্দেশনা দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, বর্ণিত দুই শ্রেণির চিকিৎসা।

প্রথম প্রকার : যাদুর প্রভাব রোধে প্রথম প্রকার চিকিৎসাপদ্ধতি বেশি ব্যবহৃত হয়। আর তা হলো, যাদুকে মূল থেকে উপড়ে ফেলা এবং যাদুকে নষ্ট করে
দেওয়া। রাসুল (সা.) থেকে সহিহ সূত্রে বর্ণিত আছে, রাসুল (সা.) একবার যাদুতে আক্রান্ত হওয়ার পর আল্লাহ তাআলাকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করেন। আল্লাহ তাআলা তাঁকে মূল রহস্য সম্পর্কে অবহিত করেন। এরপর তিনি যাদুর উপাদান একটি কূপ থেকে উদঘাটন করেন। আর ঐ যাদু চিরুনি, কিছু চুল ও খেজুরের একটি খোলের মধ্যে করা হয়েছিল। যখন রাসুল (সা.) কূপ থেকে এসবকিছু বের করলেন তখন তিনি ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠতে লাগলেন। কেমন যেন তিনি যাদুর বন্ধিত্ব থেকে স্বাধীন হলেন। যাদুগ্রস্ত ব্যক্তির জন্য সর্বোত্তম চিকিৎসা হলো, যাদুর মূল রহস্য উদ্ঘাটন করে নষ্ট করে দেওয়া। যেমনিভাবে কোনো রোগের কারণে মানুষের শরীর থেকে দূষিত উপাদান বের করে পরিষ্কার করা হয়, ঠিক তেমনিভাবে যাদুর এই চিকিৎসার ক্ষেত্রে যাদুকে মূল থেকে উচ্ছেদ করা হয়।

দ্বিতীয় প্রকার: যাদুর প্রভাব প্রতিরোধে দ্বিতীয় পদ্ধতি হলো, যেই অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে যাদু প্রভাব বিস্তার করেছে তা পরিষ্কার করা। অর্থাৎ যেই স্থানটি যাদু প্রভাবিত করেছে। স্বাভাবিক অবস্থার ওপর যাদু প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে, হিউমারিজম Humorism (উপাদান চতুষ্টয়)-এর মধ্যে চাপ সৃষ্টি করে। আক্রান্ত ব্যক্তির মন-মেজায পরিবর্তন করে দেয়। যখন কোনো অঙ্গ যাদুর মাধ্যমে আক্রান্ত হয় তখন ঐ অঙ্গ পরিষ্কার করে দূষিত উপাদান বের করে নিয়ে আসা আবশ্যক। এই চিকিৎসার মাধ্যমে অকল্পনীয় উপকারীতা পাওয়া যায়।
ইমাম আবু উবাইদা আল-কাসিম রহ, নিজ গ্রন্থ গারিবুল হাদিস-এ আবদুর রহমান ইবনু আবু ইয়ালা রহ.-এর বর্ণনাসূত্রে একটি হাদিস বর্ণনা সংকলন করেছেন। হাদিসটি হলো,
أَنَّ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ احْتَجَمَ عَلَى رَأْسِهِ بِقَرْنٍ حِينَ طُبّ.
যখন রাসুল(সা.) -কে যাদু করা হয়েছে তখন তিনি নিজের মাথায় হিজামা ব্যবহার করেছেন।

যাদুর চিকিৎসায় হিজামা করাতে আপত্তি:

যাদুর প্রভাব রোধে দ্বিতীয়প্রকার চিকিৎসার ক্ষেত্রে জ্ঞানহীন কিছু মানুষ আপত্তি তুলতে পারে। তাদের দাবি হলো, হিজামা ও জাদু তথা রোগ ও ওষুধের কোনো সম্পর্ক নেই। অথচ চিকিৎসাবিজ্ঞানের এই থিউরি যদি বুকরাত, ইবনু সিনা কিংবা অন্য কেউ বলত, তাহলে তারা সহজেই লুফে নিত। অথচ রাসুল (সা.)
থেকে এই চিকিৎসাপদ্ধতি গ্রহণীয় হয়ে আসছে যুগ যুগ ধরে। যার পরিচিতি ও শ্রেষ্ঠত্ব সম্পর্কে কারও কোনোপ্রকার সন্দেহ নেই। গভীরভাবে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, যে উপাদান দিয়ে রাসুল (সা) -কে যাদু করা হয়েছে তার দ্বারা উদ্দেশ্য ছিল তাঁর মস্তিষ্কে ক্ষতি করা। অর্থাৎ যাদুকর তাঁর প্রকৃতি ও রক্তের মাঝে প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছে। এই যাদুই রাসুল (সা.) -এর চিন্তা-ভাবনার মাঝে প্রভাব বিস্তার করে এবং মেজাযে পরিবর্তন নিয়ে আসে।

যাদুর মূল রহস্য ও ক্ষতিকর যাদুর দূর করণ পদ্ধতি:

যাদু হলো, মন্দ আত্মাসমূহের প্রভাবের সমষ্টি। যাদুর মাধ্যমে মানুষের মধ্যকার প্রকৃতির ভিত্তিকে প্রভাবিত করা হয়। যা অত্যন্ত ক্ষতিকর। বিশেষত যেই অঙ্গে এই যাদু করা হয় তা অত্যন্ত ক্ষতির সম্মুখীন হয়। তবে যখন সেই স্থানে নিয়ম মেনে হিজামা ব্যবহার করা হয়, তখন তা যাদুর প্রভাব দূর করার জন্য যথার্ত পদক্ষেপ হিসাবে বিবেচিত।

প্রাচীন গবেষক বুকরাত-এর মতামত:

প্রাচীন গবেষক বুকরাত বলেন যেসব ক্ষেত্রে পরিষ্কার করা সম্ভব সেগুলোকে এমন জায়গা থেকে পরিষ্কার করা প্রয়োজন, যেখানে যাদুর উপাদান বিদ্যমান পরিষ্কার করা হয়ে থাকে এমন রয়েছে। যে মাধ্যম অবলম্বন করে সচারাচার পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে।

যাদুর প্রাথমিক চিকিৎসায় রাসুলের (সা.) হিজামা ব্যবহার:

এক শ্রেণির গবেষকদের মতামত হলো, রাসুল (সা.) যখন যাদুগ্রস্ত হলেন তখন এর প্রতিক্রিয়া হিসাবে দেখা গেল, তিনি ধারনা করছেন একটি কাজ করেছেন, অথচ তিনি তা করেননি। রাসুল(সা.) ভেবেছেন, হয়ত এই অবস্থার সৃষ্টি, মূলত রক্তের উপাদান বা এ ধরনের কোনো সমস্যার কারণে হয়েছে। যা দেমাগ পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। এর ফলে তার মেযাজের স্বাভাবিক অবস্থায় পরিবর্তন দেখা দিয়েছে। তাই চিকিৎসা হিসাবে এই সময় হিজামার ব্যবহারই সর্বোত্তম ছিল। তাই তিনি হিজামা লাগিয়েছেন।

ওহির মাধ্যমে জানতে পেরেছেন এটি যাদু:

রাসুল (সা.) হিজামা লাগিয়েছেন রোগটির মৌলিক কারণ জানার পূর্বে অর্থাৎ যাদুর ব্যাপারে আল্লাহর পক্ষ থেকে ওহি আসার পূর্বে। যখন আল্লাহর পক্ষ থেকে যাদুর বিষয়টি জানানো হলো, তখন তিনি অন্যদের জানিয়ে দিলেন তিনি। যাদুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এবার তিনি যাদুর প্রকৃত চিকিৎসার ব্যবস্থা নিলেন।
আর তা হলো, যাদুর মুলোৎপাটন করা ও যাদু ধ্বংস করা।
যাদুর স্থান সম্পর্কে রাসুল(সা.) জিজ্ঞেস করলে, আল্লাহ তাআলা তাঁকে অবহিত করেন। তখন তিনি যাদুর মৌলিক উপাদান যথাস্থান থেকে বের করে নিয়ে আসেন। এরপর রাসুল পুরাপুরি সুস্থ হয়ে যান। কোনো উটকে দীর্ঘ সময় রশি দিয়ে বেধে রাখার পর মুক্ত করলে যে অবস্থা হয়, যাদু হতে মুক্ত
হওয়ার পর রাসুল(সা.) -এরও তেমনটি হয়েছিল।

রাসুল(সা.) -এর ওপর যাদুর প্রভাব ছিল শরীর ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে। আকল মনের ওপর যাদুর কোনো প্রভাব-প্রতিক্রিয়া ছিল না। সুতরাং রাসুল নয়; বরং এ সম্পর্কে রাসুল নিজেও ভালোভাবেই অবগত আছেন যে, বিষয়টি স্ত্রীদের কাছে আসা-যাওয়ার ব্যাপারে যে ধারনার কথা বলা হচ্ছে তা সঠিক বিভ্রাট, বাস্তব নয়। আর এ ধরনের বিভ্রাট অন্যান্য রোগের সময়ও দেখা দিতে পারে।-আল্লাহ সর্বজ্ঞাত ।

কুরআনের আয়াত ও যিকির দ্বারা যাদুর চিকিৎসা

যাদুর প্রতিক্রিয়া রোধে সর্বোত্তম চিকিৎসা

যাদুর প্রভাব রোধে যেসব উপকারী চিকিৎসা রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো, ইলাহি দাওয়া বা ইলাহি চিকিৎসা। এটিই বাস্তবিকভাবে যাদুর উপকারী প্রতিষেধক। যাদু মূলত করা হয় নিচু শ্রেণির খারাপ আত্মার মাধ্যমে। তাই এর প্রভাবকে প্রতিহত ও প্রতিরোধ করার জন্য বিভিন্ন প্রকার যিকির, আয়াত ও দুআর বিকল্প নেই। এগুলো যাদুর কার্যকারীতা ধ্বংস করে এবং প্রতিক্রিয়া নষ্ট করে।

আযকার যত শক্তিশালী ও বেশি হবে, ততই এর মাধ্যমে যাদুর বিরুদ্ধে উপকারী ও কার্যকরী চিকিৎসা করা সম্ভব হবে। এরা উভয়ে পরস্পর লড়াইকারী যোদ্ধার মতো। তাদের উভয়ের-ই রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণ শক্তি ও সামর্থ। তাদের মধ্যকার লড়াইয়ে যে প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়, তারই শক্তি প্রদর্শিত হয় এবং তারই নির্দেশ মান্য করা হয়। তাই যদি অন্তর আল্লাহ তাআলার উপর ইমানে পরিপূর্ণ থাকে, তাঁর যিকির, তাওয়াজ্জুহ, দুআ ও তাআওযাত নিয়িমিত থাকে এবং সমানভাবে আদায় করে, তাহলে এগুলোই যাদুর প্রভাব থেকে নিরাপদ রাখতে একটি বড় মাধ্যম। আবার আক্রান্ত হলেও এগুলোই যাদুর প্রভাব থেকে মুক্ত করার উত্তম চিকিৎসা।

যাদুর প্রভাব যাদের ওপর বেশি কার্যকর হয়

যাদুকরদের বক্তব্য হলো, তাদের যাদুর প্রভাব পড়ে সেসব ব্যক্তির ওপর, যারা দুর্বল ও অল্পতেই প্রভাবিত হয়। অথবা এমন বিকৃত মানুষের ওপর, যারা নিচু শ্রেণির চিন্তা-ভাবনায় মগ্ন থাকে । আর এ কারণেই আক্রান্তদের অধিকাংশই ধর্মীয় জ্ঞান, তাওয়াক্কুল ও তাওহিদ সম্পর্কে অজ্ঞ নারী, শিশু, অজ্ঞ-মূর্খ, গ্রাম্য অধিবাসী। যাদের মাঝে আল্লাহর যিকির, তাসবিহ এবং রাসুল (সা.) নিয়মতান্ত্রিক চর্চা নেই । কর্তৃক কোনো দুআ ও তাআওয়াতের মোটকথা, যাদুর প্রভাব ও প্রতিক্রিয়া বিস্তার লাভ করে দুর্বল মানুষদের ওপর, যারা তুলনামূলক বদ-আচরণ ও খারাপ চরিত্রের দিকে আকৃষ্ট হয়।

প্রেতাত্মার প্রভাব মানুষের কারণেই হয়ে থাকে

বিজ্ঞ ব্যক্তিদের উক্তি; যাদুগ্রস্ত ব্যক্তি নিজেকেই নিজে যাদুর বলয়ে নিক্ষেপ করে। তার অন্তর নানারকম খারাপ জিনিসের দিকে আকৃষ্ট থাকে। আর প্রেতাত্মা মানুষের এমনকিছু আত্মার ওপরই চেপে বসে, যেসব আত্মা প্রেতাত্মাদের পছন্দনীয় জিনিসের প্রতি আকৃষ্ট হওয়া, ইলাহি শক্তি থেকে বিমুখ হওয়া এবং প্রেতাত্মার বিরুদ্ধে লড়াই করার মতো প্রস্তুতি না রাখার মাধ্যমে প্রেতাত্মাদের চেপে বসার সুযোগ করে দেয়। তখন প্রেতাত্মারা এদের একেবারে অপ্রস্তুত অবস্থায় পেয়ে বসে এবং পুরাপুরি তাদের ওপর ভর করে বসে। অবশেষে যাদুকর প্রেতাত্মাদের মাধ্যমে যাদুর প্রভাববিস্তার করতে সক্ষম হয়।

Please Share This Post in Your Social Media